কক্সবাজার থেকে আমাদের প্রতিনিধির পাঠানো নিউজ
কক্সবাজারের রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল হুসাইন এর অপকর্মের শেষ নেই
জায়গা-জমির বিচার, জিডি থেকে শুরু করে পারিবারিক সালিশ, সবকিছুতেই হস্তক্ষেপ থাকে তার। গ্রেপ্তার বাণিজ্যসহ সবকিছু থেকেই তার ঘুষ নেয়া এখন ওপেন সিক্রেট। যে কোন মামলা নথিভুক্ত করতে গেলেই ভুক্তভোগীকে গুনতে হয় হাজার হাজার টাকা। এসব বিষয়ে একের পর এক অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।
চোরাই পথে মায়ানমার থেকে আসা অবৈধ গরু যেন তার ঘুষের বাজার আরও জমজমাট করে তুলেছে। অভিযোগ আছে, রামু থানার ওসি এক ডিআইজির আত্মীয় দাবি করে নিজেকে জমিদার মনে করেন, সাধারণ মানুষসহ সেবাপ্রার্থীদের সাথে জমিদারের মতো আচরণ করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, টাকা না পেলে কোন মামলা নথিভুক্ত করেনা রামু থানা পুলিশ। যেকোন জায়গা-জমির বিষয়ে নিজেরাই বিচার বসায় থানার সামনের গোলঘরে। সমঝোতার নামে দু’পক্ষ থেকেই দালালের মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, নানা কারণে মানুষের থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার প্রয়োজন পড়ে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ‘চা-পানি’র ব্যবস্থা অর্থাৎ টাকা ছাড়া জিডি করা সম্ভব হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে সাধারণ মানুষ নিতান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শুধু জিডি করতে থানায় যেতে চান না।
সূত্রে জানা যায়ঃ বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি হয়ে কক্সবাজার রামু উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রতিদিন প্রবেশ করে কয়েকশো অবৈধ গরু। এসব অবৈধ গরু বিক্রির বৈধতা দিয়ে ক্রয় রশিদে বিশেষ সীলের মাধ্যমে গরু প্রতি দুই হাজার টাকা করে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা চাঁদা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে গর্জনিয়া পুলিশ ফাড়ির বিরুদ্ধে।দুই হাজার টাকা দিয়ে পুলিশের বিশেষ সীল নেওয়া না হলে বিভিন্ন সময় গরু আটক করে নিলামে তোলেন রামু থানার ওসি। এভাবে টাকার জন্য রামু থানা পুলিশ গরু ব্যাবসায়ীদের জিম্মি করে রেখেছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন একাধিক গরু ব্যবসায়ী।
এমন কি রামু থানার ওসির আনোয়ারুল হোসাইন ঘুষ বানিজ্যসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদকর্মীরা গণ্যমাধ্যমে প্রকাশ করিলে সাংবাদিকতার পেশা নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন তিনি।
ওসির ঘুষ বানিজ্যসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ বিভিন্ন গণ্যমাধ্যমে প্রকাশ পেলেও কোনো পরিবর্তন আসেনি।