খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানই সেফ এক্সিট সুবিধা নিয়েছেন
‘সেফ এক্সিট’ শব্দদুটি একই দিন (১৪ মে) আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উচ্চারণ করেছেন। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন পল্টন এলাকায় এক সমাবেশে, যা ডাকা হয়েছিল শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের জন্য। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ‘সেফ এক্সিট’ বলেছেন মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের সামনের সমাবেশে, যা আয়োজিত হয়েছিল ‘বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের’ প্রতিবাদে।
বিএনপি নেতারা বলেছিলেন, ঈদের পর সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে। ১৫ এপ্রিল বিএনপির এক শীর্ষনেতা রাজশাহীতে বলেছিলেন, ঈদের পরই সারা দেশে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে। এ সরকারকে বিদায় না করা পর্যন্ত ঘরে ফিরবে না দলের নেতাকর্মীরা, এমন সংকল্পও ব্যক্ত করা হয়। বিএনপির আরেক নেতা ২০ এপ্রিল বলেছিলেন, ‘ঈদের পর আমরা কাফনের কাপড় পরে রাজপথে নামব। এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না।’
ঈদ ছিল ২২ এপ্রিল। তিন সপ্তাহ পর ১৩ মে পল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে আয়োজিত সমাবেশে দলীয় নেতাকর্মীদের কাউকেই কাফনের কাপড় পরা অবস্থায় দেখা যায়নি। তবে একটি পত্রিকা ১৩ মে-র সমাবেশের পর তাদের অনলাইনে খবর দিয়েছিল: সমাবেশে যোগদানকারীদের রাজপথের সভাস্থলে বসার জন্য সতরঞ্চি ও তেরপলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অনেকে দৈনিক পত্রিকা বিছিয়ে বসেছিলেন।
একটি কৌতুক রয়েছে এমন: এক লোক ঘোষণা দিয়ে আত্মহত্যার জন্য নদীতে নামার পর ‘সংকল্প পরিত্যাগ করে’ তীরে উঠে আসে। কৌতূহলী একজন জানতে চান: কেন প্রাণ বিসর্জন দিতে গিয়েও উঠে এলেন? উত্তর এলো: ‘পানি যে ঠান্ডা।’ সবাই হেসে উঠল। একজন বলল: প্রাণ বিসর্জন করার জন্য ঠান্ডা পানি বেশি কার্যকর হতো।
বিএনপির পল্টন অফিসের সামনের সমাবেশে যোগদানকারীরা ১৪ মে নিজ নিজ ঘরে ফিরে গিয়েছে কিনা, সেটা জানা যায়নি। রাজনৈতিক গলাবাজি কমবেশি সব দেশেই রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও নির্বাচনের ফল মানবেন না বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন।