আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাসের সাক্ষী হয়েছিলেন। এবার ম্যানচেস্টার সিটির চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসেও নাম উঠে গেছে দলটির আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেজের। ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এক মৌসুমে বিশ্বকাপের সঙ্গে ইউরোপিয়ান কাপ, লিগ এবং ঘরোয়া কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছেন।
আগে ৯ খেলোয়াড় একই মৌসুমে ইউরোপিয়ান কাপ বা চ্যাম্পিয়ন লিগ এবং বিশ্বকাপ জিতেছেন। কিন্তু কেউ ঘরোয়া ডাবল জিততে পারেননি। এই জায়গাতেই অনন্য আলভারেজ।
২৩ বছর বয়সী মৌসুমটাও দুর্দান্ত কাটিয়েছেন। ১৭ গোল নিয়ে সিটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন। অথচ সিটির অর্ধেকেরও কম খেলায় শুরুর একাদশে ছিলেন না। আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতাতেও অবদান রাখতে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোল স্কোরার ছিলেন তিনি।
এই মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালের চেয়ে ৫ পয়েন্টের ব্যবধান রেখে শিরোপা জিতেছে সিটি। এফএ কাপ জিতেছে ফাইনালে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে। তার পর তো চ্যাম্পিয়নস লিগে ইন্টার মিলানকে হারিয়ে জিতেছে ইউরোপ সেরার মুকুট।
অবশ্য ইতিহাসের অংশ হলেও ফাইনালে মাঠে নামার সুযোগ পাননি আলভারেজ। তার পরেও ইস্তাম্বুলে ট্রফিতে চুমু আঁকার সুযোগ পেয়েছেন।
ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চারটি শিরোপা জয়ের কীর্তি আলভারেজ আবার এক মৌসুমে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন এবং বিশ্বকাপ জেতা দশম খেলোয়াড়। ফাইনালে ইন্টার জিতলে এই দশমস্থান হয়ে যেতো তার আরেক সতীর্থ আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লাউতারো মার্তিনেজের।
অবশ্য বাকি যারা বিশ্বকাপটা জিতেছেন, তারা সেটা করতে পেরেছেন ক্লাব মৌসুম শেষ হওয়ার পর। এবার কাতারের গরমের কারণে সেটা হয়েছে মাঝামাঝি মৌসুমে। আগের ৯ জনের মধ্যে ৬জনই ছিলেন বায়ার্ন মিউনিখ ও জার্মান সতীর্থ। তারা এমন কীর্তি গড়েছিলেন ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে। বাকি তিনজন করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ভিন্ন ভিন্ন মৌসুমে।
তাছাড়া ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগ ও এর দক্ষিণ আমেরিকান সংস্করণ কোপা লিবার্তাদোরেস জেতা ১৩তম খেলোয়াড়ও আলভারেজ। ইংলিশ ক্লাবের হয়ে একই কীর্তি গড়া আরও তিন খেলোয়াড় হলেন দাভিদ লুইস, রামিরেস; দুজনেই চেলসির এবং কার্লোস তেভেজ।