মোংলায় সুন্দরবন উপকূলে নিষিদ্ধ নেটজাল দিয়ে অবাধে শিকার করা হচ্ছে গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেণু
মোংলায় সুন্দরবন উপকূলে নিষিদ্ধ নেটজাল দিয়ে অবাধে শিকার করা হচ্ছে গলদা ও বাগদা চিংড়ির রেণু। এভাবে একটি চিংড়ির রেণু আহরণ করতে ২০০টি অন্য জাতের মাছে পোনা ধ্বংস হচ্ছে। এতে দিন দিন কমছে বনের মৎস্যসম্পদ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে সব মাছের রেণু আহরণ নিষিদ্ধ। সরকারি এই আদেশ অমান্য করে প্রকাশেই নেটজাল দিয়ে বাগেরহাটের মোংলার পশুর নদী ও আশপাশের বনের ভেতরে আহরণ করা হচ্ছে বাগদা, গলদাসহ বিভিন্ন মাছের পোণা। তবে, আহরণের পর দুই ধরনের চিংড়ির রেণু আলাদা রেখে বাকি রেণু ফেলে দেয়া হয়। এতে গণহারে অন্যান্য মাছের রেণুপোনা ও জলজ কিছু প্রাণীর লার্ভাও ধ্বংস হচ্ছে।
দ্রুত রেণুপোনা আহরণ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) আহ্বায়ক শেখ নুর আলম।
তিনি বলেন, বন বিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও প্রশাসনের নাকের ডগায় দিয়ে শত শত নৌকায় চিংড়ির পোনার আহরণ চলছে নিষিদ্ধ নেট জাল ফেলে। এক প্রকার অসাধু ব্যবসায়ী মুনাফার স্বার্থে এমনটা করছেন। তারা একটি চিংড়ির রেণু আহরণ করতে গিয়ে ২০০টি অন্য জাতের মাছের পোনা তারা ধ্বংস করছেন। এতে একদিকে মৎস্যসম্পদ ধ্বংস হচ্ছে, আন্যদিকে আমাদের মাছের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এতে আমাদের পুষ্টিরও হানি হচ্ছে। এ ছাড়া এটা আমাদের জৈববৈচিত্র্যকেও নষ্ট করছে।
এ দিকে নিয়মিত অভিযানের কথা জানিয়ে মোংলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন বলেন, মোংলার পশুর নদী ও শ্যালা নদীর রামপালের অংশ থেকে শুরু করে হারবাড়িয়া পর্যন্ত আমাদের প্রতিনিয়ত অভিযান চলে। কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী এতে আমাদের সহায়তা করে। চিংড়িসহ সব ধরনের পোনা ধরা থেকে বিরত রাখতে সচেতনও করা হচ্ছে জেলেদের।