শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার দাবির মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। দেশের শাসনভার গ্রহণের জন্য গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এমন সময়গুলোতে রাষ্ট্রে পরিবর্তনের বাতাস বইলে পুরো দেশ ঢেলে সাজাবার প্রস্তাব ছাত্র জনতার।
নতুন ভোর, নতুন সকাল, স্বাধীনতার সকাল দেখছে জাতি
প্রতিটি জাতির জীবনে কিছু মুহূর্ত এমন আসে, যা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকে। আমাদের জন্য, স্বাধীনতার সকাল সেই ধরনের এক মহত্ত্বপূর্ণ মুহূর্ত। প্রতিটি প্রান্তরে আজ বিজয়ের সূর্য উঠেছে, প্রতিটি হৃদয়ে আজ নতুন ভোরের আলো।
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর, বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন একটি দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তবে ১৯৭১ সালের পরও যেন জাতি স্বাধিন হয়নি। আরেকবার ছত্র জনতা কে মাঠে নেমে সেই স্বাধিনতা কে আবার ফিরিয়ে এনেছে। সকল শহীদ, প্রতিটি ত্যাগ, প্রতিটি রক্তবিন্দু আজ আমাদের গর্বের প্রতীক। স্বাধীনতার সেই সকাল দেখার জন্য অসংখ্য মানুষের আত্মদান, বীরত্ব, এবং সংগ্রাম ছিল অনন্য। আজ, আমরা সেইসব বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যারা আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে।
নতুন ভোর মানে শুধুমাত্র নতুন একটি দিনের শুরু নয়, বরং এটি নতুন আশার প্রতীক। আমাদের জাতি আজ এই নতুন ভোরে দেখছে উন্নয়ন, প্রগতি এবং সমৃদ্ধির স্বপ্ন। স্বাধীনতার এই উজ্জ্বল প্রভাতে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎকে নতুন করে গড়ার প্রতিজ্ঞা নিয়েছি।
এই নতুন সকালে আমাদের সামনে রয়েছে অনেক চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা বিশ্বাস করি, ঐক্যবদ্ধ হয়ে, আমরা এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো। আমাদের যুবসমাজের শক্তি এবং সঠিক নেতৃত্ব আমাদের এই যাত্রায় সহায়ক হবে।
স্বাধীনতার এই উজ্জ্বল সকালে, আমরা নতুন করে শপথ গ্রহণ করি—আমাদের দেশকে আরও উন্নত, আরও সমৃদ্ধ, এবং আরও শান্তিপূর্ণ করে গড়ার। আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে, প্রতিটি কাজে, আমরা রাখব আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি এবং তাদের স্বপ্নকে।
নতুন ভোর, নতুন সকাল—এই স্বাধীনতার প্রভাতে, আমরা সবাই একসাথে এগিয়ে যাবো। বাংলাদেশ, আমাদের প্রাণের দেশ, আমাদের গর্বের দেশ, আমাদের স্বপ্নের দেশ।
৩৬ জুলাই-২০২৪ ( ৫ আগস্ট, ২০২৪)