বগুড়ার শাজাহানপুরে সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শহিদুল ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যক্তি রাত্রে আধাঁরে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠছে।
জানাগেছে, শহিদুল ইসলাম ১বছর পুর্বে মাঝিড়া ইউনিয়নের সাজাপুর আকন্দপাড়ার স্থানীয় এক ব্যক্তি আতিয়ারের কাছে ৬শতাংশ জমি ক্রয় করেন। এখন সেখানে চলাচলের রাস্তা না রেখে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এতে করে বাদি মোছা: নুজাহান বেওয়া(৬৫) পিতা নাজিম উদ্দিনসহ স্থানীয় এলাকাবাসি বাদি হয়ে রাস্তা রেখে নির্মাণ কাজ করতে বলে। এর আগে বিল্ডিং তৈরির নিয়মবর্হিভূত প্রসঙ্গে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, র্যাব-১২ এর কোম্পানী কমান্ডার, ইউএনও বরাবর এবং এলাকাটি ক্যান্টমেন্ট বোর্ডের আওতাধীন থাকায় সেখানেও অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়।
২মে সকালে বাড়ির মালিক শহিদুল ইসলাম ৯৯৯-এ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে দুই পক্ষকে সমাধানের জন্য বসতে বলেন এবং কাজ সাময়িক বন্ধ রাখতে বলেন।
সরজমিনে দেখাগেছে, শহিদুল ইসলাম চলাচলের রাস্তা না ছেড়ে চারদিকে ইটের প্রাচির দিয়ে মাঝখানে সুউ”চ বিল্ডিং এর বেস ঢাঁলায়ের কাজ করছে। আশেপাশের বাড়ি মালিরা আ: রাজ্জাক, নজরুল ইসলাম, নুরনবী, বাবুসহ অনেকেই জানান, শহিদুল অর্থে দাপট দেখিয়ে যা খুশি তাই করছে ¯’ানীদের কোন কথা মানে না। অভিযোগকারী বীরমুক্তিযোদ্ধার সহধর্মিনী নুরজাহান অসুস্থ অবস্থায় হুইল চেয়ারে চলাচল করে। সেখান দিয়ে তার বের হতে অনেক কস্ট হয় বলে জানান। তিনি এটির একটি স্থায়ী সমাধান চাঁন। ক্যান্টমেন্ট বোর্ডের দেওয়া নকশা না মেনে বৃদ্ধাংঙ্গী দেখিয়ে কাজ করছে সে। এমন কি নির্মাণসামগ্রী কাঁচা-মালামাল চলাচলের রাস্তা রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
নির্মাণাধীন বাড়ির মালিক শহিদুল ইসলাম জানান, আমি সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ২ফিট ৩ইঞ্চি পার্শে জায়গা ছেড়ে দেওয়া আছে অপর প্রতিপক্ষ ২ফিট ছাড়লেই চলাচলের জন্য সুন্দর ব্যবস্থা হবে কাহারো কোন ধরনে সমস্য থাকবেনা। সেখান দিয়ে ছোট যান চলাচল ও করতে পাবে। ওরা মূলত চাঁদা নেবার জন্য এরকম হয়রানীমূলক আচারণ করছে আমার সাথে।
এবিষয়ে ৯৯৯-এ নম্বরে সরজমিনে আসা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহিন জানান, বিষয়টি সমাধান করতে তাদেরকে বসতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন বোধে আবারও সরকারি আমিন দিয়ে মাপযোগ করে সুষ্ঠ সমাধান করা হবে।
