বগুড়ায় শ্রমজীবীদের মাঝে বিনামূল্যে শরবত বিতরণ
বগুড়া শহরে গরমে রাস্তায় নামা সাধারণ পথচারীরাও নাকাল। ধকল সামলাতে বোতলের পর বোতল ঠান্ডা পানি কিনছেন কেউ কেউ। আবার সেই একই গরমে, একই রোদে সড়কে রিকশা চালাচ্ছেন, ভ্যান টানছে কিছু মানুষ। একবার ভেবেছেন পেটের দায়ে কী কষ্টটাই না করতে হচ্ছে তাদের। এ কষ্টটা হয়তো কিছুটা হলেও অনুভব করেছিল বগুড়ার ঠনঠনিয়া নুরুন আলা নূর ফাজিল মাদ্রাসার কয়েকজন তরুন ছাত্র। আর সেটা অনুভব করেছে বলেই টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে গতকাল শনিবার (১৩ মে) দুপুরে শহরের সাতমাথা জিলা স্কুলের সামনে দাড়িয়ে ছিল ঠান্ডা পানি আর শরবত নিয়ে। উদ্দেশ্য বিনা পয়সায় রিকশাচালক, ভ্যানচালক এবং দিন মজুরদের পিপাসা নিবারণ। একটু সহানুভূতি থাকলেই সামান্য সামর্থ্য নিয়েও যে ভালো কিছু করা সম্ভব তার অসাধারণ একটা চমৎকার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে এ তরুণ ছাত্ররা। অন্তত সাড়ে চারশো শ্রমজিবী মানুষের তৃষ্ণা নিবারণে এই শরবত খাইয়েছেন তারা। ছাত্রদের বিলানো শরবত খেয়ে হাত তুলে তাদের জন্য দোয়া করেছেন এসব শ্রমজীবী মানুষ। মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র রোহান বলেন, হঠাৎ আগের দিন রাতে আমাদের বন্ধুদের সাথে বিষয়টি আলাপ করি। তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই গরমে শ্রমজীবী মানুষদের বিনামূল্যে বিশুদ্ধ শরবত খাওয়াবো। মাত্র পাঁচ-ছয়জন ছাত্রদের টিফিনের টাকা বাঁচানো চাঁদা দিয়েই কেনা হয় লেবু, চিনি, পানিসহ বিভিন্ন জিনিস। তারপর সেগুলো সবার জন্য উমুক্ত করে দেওয়া হয়। বিশেষ করে রিকশা চালক, ভ্যান চালক ও অটোরিকশা চালকেরা নিজেদের মন মতো গ্লাস ভর্তি করে এই শরবত তাদের পান করানো হচ্ছে। মাদ্রাসার আরেক ছাত্র সামিউল বলেন, অবশ্য এবারই প্রথম এ উদ্যোগ নেয়া আমাদের। তবে এমন সেবামূলক কাজে সকলের সহযোগিতা পেলে ধারাবাহিক ভাবে প্রতি শনিবার আমরা আবার শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবো ইনশাআল্লাহ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঠনঠনিয়া নুরুন আলা নূর ফাজিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র রোহান, সাদিক, সামিউল, আব্দুল্লাহ, হাসিব, অলি, পৌর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ইয়াসিন আলী প্রমুখ।।